DMCA.com Protection Status চূড়ান্ত ভাবে বাজারে আসছে সিটিসেল | সিটিসেল চূড়ান্তভাবে বাজারে ফিরে আসার খবরটি সত্য নয় - ZAREEN TECH WAVE -Largest Tutorials Website For Freelancer ZAREEN TECH WAVE -Largest Tutorials Website For Freelancer

Header Ads

চূড়ান্ত ভাবে বাজারে আসছে সিটিসেল | সিটিসেল চূড়ান্তভাবে বাজারে ফিরে আসার খবরটি সত্য নয়

সিটিসেল চূড়ান্তভাবে বাজারে ফিরে আসার খবরটি সত্য নয়

সিটিসেল চূড়ান্তভাবে বাজারে ফিরে আসার খবরটি সত্য নয় ২০২৩ সালে সরকার সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করে দেয়। যদিও কিছু সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে এটি নতুন রূপে ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে, তবে এটি একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য। সিটিসেল তার লাইসেন্স ফিরে পেতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)-এর কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু লাইসেন্স বাতিলের পর আর কোনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। 
  • লাইসেন্স বাতিল: ২০২৩ সালে সিটিসেলের ২জি লাইসেন্স সরকার চূড়ান্তভাবে বাতিল করে দেয়।
  • সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম: ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে চালু করা হলেও, পরে তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
  • গুজব ও বিভ্রান্তি: সম্প্রতি কিছু ফেসবুক পোস্ট এবং ভিডিওতে সিটিসেলের নতুন রূপে ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
  • আবেদন: কোম্পানিটি লাইসেন্স ফিরে পেতে বিটিআরসি-এর কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছিল, কিন্তু তার কোনো অগ্রগতি নেই।
  • কারণ: প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, সুযোগ হারানো, কৌশলগত ভুল, নেটওয়ার্ক এবং মূল্য নির্ধারণের সমস্যা, এবং আর্থিক ও আইনি ঝামেলা কোম্পানির ব্যর্থতার জন্য দায়ী ছিল।

গত ১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসিতে পাঠানো চিঠিতে সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম অপারেটিং ও রেডিও ইক্যুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটিই ফেরত চেয়েছে।

সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করে চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এজন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দায়ী। পরবর্তীকালে আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়। 

তবে বিটিআরসি তখন জানিয়েছিল, ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 

তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ৫জিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর। 
 

এ বিষয়ে প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান বলেন, তাদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না। তৎকালীন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

দেশে সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল সিটিসেল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে সিটিসেলের সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়। ২০২৩ সালে টু-জি লাইসেন্স বাতিলের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয় সিটিসেল।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম (প্রা.) লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরটির লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।

No comments

Thank You For Visit My Website.
I Will Contact As Soon As Possible.

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.